সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান কবি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক, ছড়াকার ও সাহিত্যিক, প্রকাশক এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা আসাদ বিন হাফিজের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ‘নজরুল-আব্বাসউদ্দিন সেন্টার কক্সবাজার (এন এ সি)’ এর সভাপতি অ্যাডভোকেট রমিজ আহমদ, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার উদ্দিন হেলালী, প্রধান নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জি এ এম আশেক উল্লাহ এবং নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরিদুল আলম।
নেতৃবৃন্দ তাঁর পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছোট ছেলে আহমদ শামিল।
এর আগে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বড়গাও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহাম্মদ হাফিজউদ্দীন মুন্সী এবং মা জুলেখা বেগম। বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার এবং ছড়াকার হিসেবে তিনি পরিচিত।
আদর্শিক দিক দিয়ে কবি ফররুখ আহমদের অনুসারী। তার সাহিত্যে বাংলার মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণ এবং বিপ্লবের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সৃজনশীলতার পাশাপাশি তিনি সাহিত্যে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহারেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও তাঁর সাহিত্যে বিপ্লবী চিন্তা-চেতনারও প্রকাশ ঘটেছে। তিনি ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক(সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি ১৯৮৩ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
‘অনিবার্য বিপ্লবের ইশতেহার’ তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি এবং বিপ্লবীদের প্রেরণার উৎস।
কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, গবেষণা, সম্পাদনা ইত্যাদি সাহিত্যের সব শাখাতেই কবি আসাদ বিন হাফিজ রেখেছেন তার অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর। তিনি প্রায় ৮১টি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। কবি আসাদ বিন হাফিজ তার বর্ণাঢ্য কর্ম ও সাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।